Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

সিটিজেন চার্টার

গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী

মাগুরা।


সিটিজেন চার্টার

সিটিজেন চার্টার

() প্রশিক্ষণ:

(-গ্রাম ভিত্তিক মৌলিক প্রশিক্ষণ (ভিডিপি পুরুষ  মহিলা) :

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের সদস্য-সদস্যাগণ ভিডিপি সংগঠন সম্পর্কে ধারনা লাভ করেন এবং ভিডিপি প্লাটুনের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হন।

(-নিয়মাবলীঃ

সংশ্লিষ্ট গ্রামের ৩২জন পুরুষ এবং ৩২ জন মহিলার সমন্বয়ে গঠিত দু’টি প্লাটুন কে সরকারীভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

গ্রামের সুবিধা জনক স্থানে ১০(দশ) দিনের এই প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।

একটি গ্রামে একবার এই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

প্রশিক্ষণার্থীকে সর্বনিম্ন অষ্টম শ্রেণী পাশ হতে হয়।

প্রশিক্ষণার্থীর বয়স সর্বনিন্ম ১৮এবং সর্বোচ্চ ৩০বছর।

প্রশিক্ষণ ভাতা হিসাবে দৈনিক নির্ধারিত হারে প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদান করা হয়।

প্রশিক্ষণ শেষে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণ ভাতা থেকে ১০০/- টাকা মূল্যের আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ১টি শেয়ার ক্রয় করতে হয়।

প্রশিক্ষনার্থীকে প্রশিক্ষণ শেষে সনদ পত্র প্রদান করা হয়।

এক গ্রামের সদস্যকে অন্য গ্রামে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না।

জেলা কমান্ড্যান্ট আর্থিক বছর শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসারের সুপারিশ মোতাবেক গ্রাম নির্বাচন করেন।

এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গ্রামের ভিডিপি পুরুষ ও মহিলা প্লাটুন সমূহ পুনর্গঠিত হয়।

প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী সদস্য সদস্যাগণ ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর সরকারী চাকুরীতে নির্ধারিত ১০% কোটায় আবেদন করার সুযোগ পান (তবে তা শুধুমাত্র ২১দিন মেয়াদী প্রশিক্ষণের জন্য)।

(সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণ(পুরুষ  মহিলা):

এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করলে সদস্য ও সদস্যাগণ সাধারণ আনসার হিসেবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হন এবং সাধারণ আনসার হিসেবে অঙ্গীভূত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন।


(-সাধারণ আনসার প্রশিক্ষণের নিয়মাবলী নিন্মরূপঃ

জেলা সদরে প্রাথমিক পর্ব এবং ধারা বাহিক ভাবে গাজীপুরের সফিপুর আনসার-ভিডিপি একাডেমীতে চূড়ান্ত পর্বে এ প্রশিক্ষণ পরিচালিত হয়।

জেলা কমান্ড্যান্ট-এর কার্যালয় কর্তৃক কোটা অনুযায়ী সদস্য ও সদস্যা বাছাই করা হয়।

আনসার বাহিনী আইন ১৯৯৫ এবং আনসার বাহিনী প্রবিধান মালা ১৯৯৬ এর আলোকে সংশিষ্ট ব্যক্তিকে নিন্মরূপ যোগ্যতা সম্পন্ন হতে হয়ঃ

বয়স ১৮ হতে ৩০ বছর।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণী পাশ। তবে এসএসসি বা তদূর্ধ ডিগ্রী ধারীগণকে প্রশিক্ষণ গ্রহণে অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

সর্বনিম্ন ১৬০সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৫’- ৪”(পুরুষের ক্ষেত্রে)

সর্বনিম্ন ১৫০সেন্টিমিটার অর্থাৎ৫’- ০”(মহিলার ক্ষেত্রে)

বুকের মাপ ৭৫ সেন্টিমিটার হইতে ৮০সেন্টিমিটার অর্থাৎ ৩০”– ৩২”(পুরুষের ক্ষেত্রে)।

দৃষ্টিশক্তিঃ ৬/৬

ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণের সময় শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এবং চারিত্রিক ও নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট দাখিল করতে হয়।

প্রশিক্ষণ কালীন প্রশিক্ষণার্থীদের বিনা মূল্যে থাকা, খাওয়া, পোষাক-পরিচ্ছদ প্রদান করা হয়।

এ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহণের জন্য কোন সদস্যের নিকট হতে কোন অর্থ গ্রহণ করা হয় না।

এ প্রশিক্ষণ সাফল্য জনক ভাবে সমাপ্তির পর সনদপত্র ও স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হয়।

প্রশিক্ষণ গ্রহণ কারী সদস্য/সদস্যাগণ দূর্গাপূজা, জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অথবা সরকার নির্দেশিত আইন-শৃংখলার দায়িত্ব পালনের জন্য স্বল্পকালীন সময়ের জন্য অংগীভূত হয়ে থাকেন।

 

 

(পেশাভিত্তিকপ্রশিক্ষণ:

মৌলিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন আনসার ভিডিপি সদস্য/সদস্যা স্বনির্ভর হবার সুযোগ পায়। আনসার-ভিডিপি সংগঠন প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের পেশা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। যেমনঃ-

কম্পিউটার বেসিক কোর্স (ব্যাটালিয়ন আনসার, সাধারণ আনসার ও ভিডিপি সদস্য-সদস্যা)।

ইলেকট্রিশিয়ান কোর্স (ভিডিপি সদস্য/ব্যাটালিয়ন আনসার/সাধারণ আনসার)।

ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ (ভিডিপি পুরুষ ও মহিলা)।

অটো মেকানিক্স প্রশিক্ষণ-ভিডিপি সদস্য।

রেফ্রিজারেটর এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং (উইথ ডাক সার্ভিসিং) প্রশিক্ষণ- ভিডিপি সদস্য।

ইলেকিট্রিক্যাল হাউজ ওয়্যারিং প্রশিক্ষণ- ভিডিপি সদস্য।

মোবাইল ফোন সার্ভিসিং প্রশিক্ষণ- ভিডিপি সদস্য।

প্লাম্বিং এন্ড পাইপ ফিটিং প্রশিক্ষণ- ভিডিপি সদস্য।

ওয়ের্ল্ডি 4জি প্রশিক্ষণ- ভিডিপি সদস্য।

ম্যাশনারি এন্ড রড বাইন্ডিং প্রশিক্ষণ- ভিডিপি সদস্য।

কনস্ট্রাকশন পেইন্টিং প্রশিক্ষণ- ভিডিপি সদস্য।

টাইলস সেটিং প্রশিক্ষণ- ভিডিপি সদস্য।

সেলাইও ফ্যাশন ডিজাইন প্রশিক্ষণ (আনসার সদস্যা/ভিডিপি সদস্যা)।

গার্মেন্টস প্রশিক্ষণ (ভিডিপি পুরুষ ও মহিলা)

এছাড়াও আরো বিভিন্ন পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয় যা প্রতি বছর প্রশিক্ষণ নির্দেশিকা মোতাবেক সংযোজন/বিয়োজন হয়ে থাকে।

(সাধারন আনসার অঙ্গীভূতির নিয়মাবলী:

(-আনসার সদস্যের জন্য:

যে কোন সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান/সংস্থায় চাহিদা বিবেচনা করে তাদের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য নিম্ন লিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে আনসার অংগীভূত করে দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়।

প্রশিক্ষণের পর আনসার-ভিডিপি একাডেমি হতে প্রশিক্ষণের পর আনসারদের স্মার্ট কার্ড ও সনদপত্র প্রদান করা হয় এবং অনলাইনে কেন্দ্রিয় প্যানেলে তাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয়।

সংস্থার চাহিদা মোতাবেক এসএমএস-এর মাধ্যমে আনসারদেরকে অংগীভূতির অফার প্রদান করা হয়।

বর্তমানে তিন বছরের জন্য সংস্থায় আনসার অঙ্গীভূত করা হয় অর্থাৎ০১ জন আনসারের অঙ্গীভূতির মেয়াদ এক নাগাড়ে তিন বছর।

অঙ্গীভূতিকাল সমাপ্তির পর পরই সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্য ০৬ মাস REST থাকার পর অফারের জন্য অটোমেটিক কেন্দ্রিয় প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়।

আনসার সদস্যদের অঙ্গীভূতির জন্য ফায়ারিং অভিজ্ঞতাসহ মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত হতে হয়।

অঙ্গীভূতি হওয়ার জন্য প্যানেল ভুক্তির নিমিত্তে নিম্ন লিখিত যোগ্যতা প্রয়োজন:

বয়সঃ ১৮ থেকে ৫০বছর।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ৮ম শ্রেণী পাস, তদূর্ধদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়।

উচ্চতাঃ ৫’- ৪”(পুরুষ) ৫’- ০” (মহিলা) (অধিক উচ্চতা সম্পন্ন প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হয়)।

বৈবাহিক অবস্থা বিবাহিত/অবিবাহিত উভয়ই।

স্মার্ট কার্ড।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান/ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক প্রদত্ত চারিত্রিক ও নাগরিকত্ব সনদ পত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতা সনদের সত্যায়িত কপি,

সাধারণ আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের সনদ,

পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট,

জেলা কমান্ড্যান্ট কর্তৃক প্রদত্ত অনাপত্তি পত্র (অন্য জেলার প্রার্থীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য),

০৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

অঙ্গীকার নামা ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।

যোগ্যতার ভিতিত্তে সংস্থায় আনসার অঙ্গীভূত করা হয় সুতরাং  বিষয়ে আর্থিক লেনদেন দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

(-সুযোগ সুবিধাঃ

সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হারে দৈনিক ভাতা ও বাৎসরিক ০২টি উৎসব ভাতা প্রাপ্ত হন।

প্রত্যেক অঙ্গীভূত আনসার সরকারী নির্ধারিত হারে মাসে ২৮কেজিগম, ২৮কেজি চাল এবং ০২লিটার ভোজ্য তেল ভতুর্কি মূল্যে প্রাপ্তহন।

অঙ্গীভূত হয়ে দায়িত্ব পালন কালে দুর্ঘটনা জনিত কারণে আনসার সদস্যগণ বিভাগীয় কল্যাণ তহবিল হতে নিজ, স্ত্রী ও সন্তানদের চিকিৎসা ব্যয় বাবদ আর্থিক সহায়তা লাভ করেন।

কন্যা বিবাহ, মেধাবী সন্তানদের উচ্চতর শিক্ষার জন্য আনসার সদস্যগণ আর্থিক সহায়তা প্রাপ্ত হন।

কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য বিশেষ সম্মাননা পদক ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।

অঙ্গীভূত থাকাকালীন মৃত্যুবরণ করলে উত্তরাধীকারীগণ নির্ধারিত হারে আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হন।

প্রত্যাশী সংস্থা কর্তৃক আনসার মোতায়েনের আবেদনের নিয়মাবলীঃ-

যে কোন সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্ত্ব স্বাসিত ও বেসরকারী সংস্থা নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র/নিরস্ত্র আনসার মোতায়েনের জন্য আবেদন করতে পারেন। আবেদন/মোতায়েনের নিয়মবলী নিম্নরূপঃ

জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয় হতে অথবা অনলাইন করতে হবে।

আবেদনকারী অবশ্যই সংস্থার মালিক/স্বত্তাধিকারী হতে হবে।

আবেদনপত্রের সাথে জমির দলিল ও খতিয়ানের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে।

৩০০/- (তিনশত) মূল্য মানের নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা প্রদান করতে হবে।

সংস্থার বিভিন্ন স্থাপনার ছবি (রঙ্গিন) সংযুক্ত করতে হবে।

আবেদন পত্র জেলা কমান্ড্যান্টর এর কার্যালয়ে দাখিল করতে হবে।

জেলা কমান্ড্যান্ট নিজে এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার সংস্থা পরিদর্শন শেষে আবেদন পত্র রেঞ্জ কার্যালয়ের মাধ্যমে আনসার ভিডিপি সদর দপ্তরে আনসার মোতায়েনে অনুমাতির জন্য আবেদন পত্রটি প্রেরণ করবেন।

আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের অনুমোদনক্রমে জেলা কমান্ড্যান্ট চাহিত সংখ্যক আনসার সদস্য অঙ্গীভূত করে ক্যাম্প স্থাপন পূর্বক মোতায়েন করবেন।